SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

On This Page
নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) - গার্হস্থ্য বিজ্ঞান - খাদ্যের কাজ ও উপাদান | NCTB BOOK

মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানি অত্যাবশ্যকীয়। মানুষ কয়েক সপ্তাহ খাবার না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু পানি না খেয়ে এক দিনের বেশি থাকতে পারে না। মানুষের দেহ ৫৫-৭৫% পানি যারা গঠিত। শরীরের সকল টিসুতেই পানি থাকে। প্রতিদিন মল, মূত্র, ফুসফুস চামড়ার মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায় এবং মানুষের দেহ পানি সঞ্চয় করে রাখতে পারে না। তাই প্রতিদিনই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হয়। কী পরিমাণ পানি পান করতে হবে তা নির্ভর করে কী ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করা হচ্ছে, কী খাবার খাওয়া হচ্ছে ইত্যাদি বিষয়ের উপর। প্রতিদিন যে পরিমাণ পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায় সেই পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন। খাবার থেকে প্রায় লিটার পানি পাওয়া যায় এবং বাকিটা প্রতিদিনের গ্রহণকৃত তরল পানীয় থেকে পেতে হবে। গড়ে একজন মানুষের প্রতিদিন .- লিটার পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়। একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের দিনে - গ্লাস পানির প্রয়োজন হয়। তবে পানির চাহিদা নিম্নলিখিত অবস্থায় বেড়ে যায়-

  • খুব বেশি গরম আবহাওয়ার কারণে অনেক ঘাম হলে
  • জ্বর হলে।
  • ডায়রিয়া হলেও বমি হলে।
  • অনেক বেশি পরিশ্রম করলে।
  • শরীরবৃত্তীয় খেলাধুলা করলে বা ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম করলে
  • খাবারে আঁশ-জাতীয় খাদ্য বেশি থাকলে।
  • স্তন্যদাত্রী মা সন্তানকে দুধ পান করালে।
  • যাঁরা উড়োজাহাজে ভ্রমণ করেন তাঁদের ক্ষেত্রে প্রতি - ঘণ্টা উড়োজাহাজে ভ্রমণের জন্য প্রায় . লিটার পানি বের হয়ে যায় অর্থাৎ পানির চাহিদা বাড়ে
  • বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবনের কারণেও পানির চাহিদা বাড়ে।
  •  

পানির উৎস পানির প্রধান উৎস হচ্ছে খাবার পানি, ডাবের পানি, দুধ, ফলের রস, সুপ ইত্যাদি বিভিন্ন

ধরনের পানীয়। ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রসাল ফল, যেমন- তরমুজ ইত্যাদিতেও প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে

পানির কাজ-

  • শরীরের প্রতিটি কোষের স্বাভাবিক কাজ বজায় রাখার জন্য পানি প্রায়োজন হয়।
  • খাদ্য পরিপাক শোষণে সহায়তা করে।
  • শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করার জন্য পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • কোষে পুষ্টি উপাদান পরিবহণে সাহায্য করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে

অভাবজনিত অবস্থা শরীরে পানির পরিমাণ খুব কমে গেলে সেই অবস্থাকে ডিহাইড্রেশন বা পানি শুষ্কতা

বলে।

ডিহাইড্রেশনের কারণগুলো হলো

  • অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া, আর্দ্রতা, ব্যায়াম অথবা জ্বরের কারণে ঘাম বেশি হওয়া
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা বা খাদ্যে তরল জাতীয় খাদ্যের ঘাটতি থাকা।
  • ডায়রিয়া হওয়া
  • অতিরিক্ত বমি হওয়া

ডিহাইড্রেশনের লক্ষণগুলো হলো -

  • মাথা ধরা
  • দুর্বল লাগা
  • ঠোঁট শুকিয়ে যায় বা ফেটে যায়
  • মূত্রের রং গাঢ় হয়।

ডিহাইড্রেশন থেকে শরীরে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করা দরকার।

কাজ - আমাদের দেহে প্রতিদিন কী পরিমাণ পানির প্রয়োজন হয়? কোন কোন অবস্থায় পানির চাহিদা বৃদ্ধি পায় তা লেখ।

 

Content added By

Promotion